
আলহামদুলিল্লাহ্ । অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে অবশেষে বন্ধন’র ৬স্ঠ সংখ্যা আলোর মুখ দেখলো । আমরা যখন বন্ধন’র জন্য লেখা আহবান করছিলাম তখন আব্দুল হাই তালুকদার সাহেব বেঁচে ছিলেন । লেখা , লেখা প্রকাশ, তা তাকে পৌঁছে দেবার পরামর্শসহ দারুণ হৃদতায় তারা সমৃদ্ধ ছিলেন । হঠাৎ করে শুনলাম তিনি নেই। চলে গেছেন চিরচরে আমাদের লোকচক্ষুর অন্তরালে না ফেরার দেশে । এমনি করে আমরা আজ যারা কর্মচঞ্চল, প্রাণোচ্ছাল ও ব্যস্ত জীবনযাপন করছি , আত্মীয়তার বন্ধনে মধুময় সময় পার করছি তারাও এই পরপারের যাত্রী হয়ে ভবতরীতে উঠার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি । এটাই বাস্তব । এটাই সত্য । আমি বা আমরা ছিলাম না – আমরা আছি এবং আমরা কেউ থাকবো না ।
একান্ত ইচ্ছা , আমরা সাময়িক সময়ের জন্য যারা আছি তারা যেন একজন অপরের সুখে – দুঃখে , হাসি আনন্দের মেলবন্ধন হিসেবে যারা রূবীক্লাব সৃষ্টি করেছিলেন তাদের মধ্যে কেঊ হয়তো নেই । কিন্তু তাদের মহতী উদ্যোগকে কৃ্তজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি ।
যারা শত ব্যস্ততা ও আনন্দ-নিরানন্দময় সময় অতিবাহিত করেছেন এবং এর মধ্যেও বন্ধন’র জন্য লেখা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । যারা বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা কে সহয়তা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ।
কোন প্রকাশনার সব চেয়ে বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে প্রুফ দেখা । তবে সম্পাদনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সেই বিরক্তিকর কাজকে উপেক্ষা করে বেশ কষ্ট স্বীকার করেছেন । বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় জনাব এল আর চৌধুরী, জনাব মোঃ শামসুজ্জেহা এবং কাজী আব্দুর রাজ্জাকের অকান্ত পরিশ্রম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয় । তারা না হলে এবারের বন্ধন প্রকাশনা কোনভাবেই সহজ ছিলোনা ।
সকলকে আবারো শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা ।
।
( মোহাম্মাদ এমদাদুল হক )